নিউজ ডেস্ক: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শীর্ষ জেএমবি নেতা সালমান হত্যা মামলায় ৩ জেএমবি সদস্যর মতৃদন্ড ও ৪ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এ রায় প্রদান করেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলো, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার চান পাড়ার মৃত এরশাদ আলীর ছেলে সারওয়ার হোসেন (৩৭), গোমস্তাপুর উপজেলার বালুগ্রাম রাজারামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৯) ও একই এলাকার বালুগ্রাম দক্ষিণটোলা গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুস শুকুর ওরফে শুকুর (৩৯)।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলো, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বোগলা গোপালনগর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে শামসুল হক (৩৩), নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার শিবনগর গ্রামের ইয়াসিন আলীর ছেলে আব্দুল মোতাকব্বির ওরফে সনি (৩৩), গোমস্তাপুর উপজেলার চকপুস্তম গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৯) ও একই এলাকার নিমতলা ঘুন্টুটোলা গ্রামের মাহতাবের ছেলে শামীম (৩৫)।
অতিরিক্ত সরকারি কৌশুলী আঞ্জুমানারা জানান, ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল গভীর রাতে জেএমবির অভ্যান্তরীন কন্দলে তাদের শীর্ষ নেতা ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার আজগর আলীর ছেলে রুহুল আমীন ওরফে সালমানকে হত্যা করে তার মস্তকবিহীন লাশ জেলার নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ইসরাইল চেয়ারম্যানের আম বাগানে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এ ঘটনায় ৩ জেএমবি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে এবং তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মস্তকটি মহানন্দা নদীর তীর সংলগ্ন ধায়নগর ঘাট এলাকা থেকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নাচোল থানার এসআই আনিসুর রহমান বাদি হয়ে ৭ জন আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্তকারী এসআই গৌতম চন্দ্র মালি ২০১৫ সালে ২৯ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ সাক্ষ প্রমানাদি শেষে সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শওকত আলী তাদের দোষী সাববস্ত করে এ রায় প্রদান করেন। তবে এ মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী সানোয়ার হোসেন পলাতক রয়েছে।
